মুখবন্ধ
ইউনিয়ন পরিষদ যৌক্তিকভাবেই স্থানীয় সরকার একক হিসেবে স্বীকৃত। তৃণমূল পর্যায়ে উন্নয়নমূলক কার্যক্রম সম্পাদনের জন্য ক্রমশই ইউপিকে বেশি করে দায়িত্ব ও সহায়তা দেয়া হচ্ছে। ইউনিয়ন পরিষদের সদস্যবৃন্দ, সচিবসহ সচেতন নাগরিকদের পরার্মশের ভিত্তিতে এবং ইউপিজিপির সার্বিক সহযোগিতায় ইউনিয়নের ৯টি ওয়ার্ড সভার মাধ্যমে সকল শ্রেণীর জনসাধারনের সক্রিয় অংশগ্রহনের ফলে এলাকার সমস্যা নির্ধারণ, চাহিদা ও সম্পদসমূহ নিরূপন করা হয়। যেখানে প্রতিটি ওয়ার্ড সভায় আমি নিজে উপস্থিত থেকে এ কাজগুলো করেছি।
ইউনিয়নের নয়টি ওয়ার্ডের উন্মুক্ত সভায় জনসাধারনের চাহিদা অনুযায়ী প্রকল্প প্রস্তাবসমূহ পর্যলোচনার পর ইউনিয়ন পরিষদের সাধারণ সভায় বাছাইকতৃ উন্নয়ন মূলক প্রকল্প সমূহের পাঁচ বছর মেয়াদী বাস্তবায়ন পরিকল্পনা তৈরী করা হয়। ইউনিয়ন পরিষদের উন্নয়ন কর্মকান্ডে জড়িত সংশ্লিষ্ট সরকারী দপ্তর হতে প্রাপ্ত তথ্যাদী ও উন্নয়ন পরিকল্পনার সমন্বয়ে অত্র ইউনিয়নের পরিকল্পনা প্রণয়ন করা হয়।
পঞ্চবার্ষিকী উন্নয়ন পরিকল্পনা বইটি তৈরী করার জন্য কর্মশালার মাধ্যমে পরিকল্পনা সমন্বয় কমিটি (পিসিসি) গঠন করা হয়। পরিকল্পনা সমন্বয় কমিটির (পিসিসি) সার্র্বিক সহযোগিতায় এ ধরনের একটি পঞ্চবার্ষিকী উন্নয়ন পরিকল্পনাটি প্রকাশ করতে পেরেছি। এ পরিকল্পনাটি একটি যুগান্তকারী মাইল ফলক হিসাবে চিহ্নিত হয়ে থাকবে। এর মাধ্যমে স্থানীয় সরকারের সর্বনি¤œ স্তর ইউনিয়ন পরিষদ আরো বেশী গতিশীল, শক্তিশালী ও জবাবদিহিতামূলক হবে। কর আদায় ও স্থানীয় সম্পদের ব্যবহার নিশ্চিত করবে বলে আমি বিশ্বাস করি। দীর্ঘ মেয়াদী এ পরিকল্পনাটি ইউনিয়নের জণগণের মৌলিক চাহিদা পূরণে সক্ষম হবে। উন্নয়ন পরিকল্পনা প্রণয়নে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) ও হতদরিদ্রদের দু’টি বিষয়ই গুরুত্ব দিয়ে বইটি প্রণয়ন করার জন্য চেষ্টা করা হয়েছে। পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা প্রকাশ করতে পেরে আমি অত্যন্ত আনন্দিত।
বিশ্বায়নের এ যুগে বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে চলতে গেলে জ্ঞান ও প্রযুক্তি নির্ভর হয়ে আমাদের নিজেদেরকে গড়ে তুলতে হবে। তাই আমি আশা করি এ পঞ্চবার্ষিকী উন্নয়ন পরিকল্পনাটি স্থানীয় সরকার (ইউনিয়ন পরিষদ) আইন ২০০৯ এর আলোকে ইউনিয়নের অর্থনৈতিক ও সামাজিক ক্ষেত্রে জনগণের জীবনযাত্রার উন্নয়নে অনস্বীকার্য ভূমিকা পালন করবে। নতুন পরিষদ পরিকল্পনা বাস্তবায়নে সর্বাতœক প্রচেষ্টা অব্যহত রাখবে।
আশাকরি পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা বাস্তবায়িত হলে এলাকাবাসীর স্ব-কর্মসংস্থান সৃষ্টির মাধ্যমে দারিদ্রতা হ্রাস, অবকাঠামো প্রসারণ, আধুনিক সেচ ব্যবস্থা, কৃষিক্ষেত্রে সমৃদ্ধি অর্জন, উন্নত শিক্ষা ও স্বাস্থ্যসেবা গ্রহনের সুযোগ সৃষ্টি, লিঙ্গ ভিত্তিক বৈষম্যতা হ্রাসসহ সরকারের এসডিজি বাস্তবায়নে ফলপ্রসূ ভূমিকা রাখবে।
পান্ডুলিপি প্রস্তুতসহ বইটি সময়মত প্রকাশ করতে যাদের অনুপ্রেরণা আমাকে অনুপ্রাণিত করেছে তাদের মধ্যে উপ-পরিচালক স্থানীয় সরকার, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, বিভিন্ন সরকারী দপ্তরের সহযোগিতা এবং ইউনিয়ন পরিষদের সদস্যদের ভূমিকা অগ্রগণ্য। উপজেলা পর্যায়ে বিভিন্ন দপ্তর থেকে পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা প্রণয়নের জন্য চাহিদা অনুযায়ী তথ্য সরবরাহের জন্য সকলের প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছি।
আবু সাদাৎ মোঃ সায়েম
চেয়ারম্যান
জাফরাবাদ ইউনিয়ন পরিষদ
করিমগঞ্জ, কিশোরগঞ্জ
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস